সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাদেঝিগলী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৯৮৮তে গ্রামবাংলা যুব সংঘের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আজকের চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা মুহিবুর রহমান মানিক। যাঁর সততার সাথে আমার পরিচয় ঘটিয়ে ছিলেন ওরা হলেন বদরুজ্জামান শামীম এবং নজরুল ইসলাম আসলমী। সেই থেকে আমি মানিক ভাইকে ভালবাসি।
ভাটিবাংলার প্রাণ পুরুষ, জননেতা মুহিবুর রহমান মানিক কিভাবে সকলের নয়নের মানিক হয়ে উঠলেন তাঁর কিছু কথা উপস্থাপন করতে চাই।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে ছাতক উপজেলার মানুষ ১৯৯০ সালে তরুণ বয়সে তাঁকে বিপুল ভোটে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। তারপর ’৯১ সালে ১৫-দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে হেরে গেলেও ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা-উত্তরকালে এই আসন থেকে তিঁনিই প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। সেই থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ছাতক ও দোয়ারা বাজারের লক্ষাধিক জনতাকে নিয়ে ’৯৪ সালে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশেষ কাউন্সিল করে প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
ঐতিহাসিক এই যোগদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাদের ভাটিবাংলার দুই নেতাকে বরণ করে নেন।
আমি তখকার ছাত্রলীগ নেতা বদরুজ্জামান শামীম ও নজরুল ইসলাম আসলমীর হাত ধরে জননেতা মুহিবুর রহমান মানিকের কর্মী হিসাবে কাজ করতে সক্ষম হই। আমিও সেদিন আমার রাজনৈতিক গুরু মুহিবুর রহমান মানিক ভাইয়ের যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার জীবনে এটাই ছিল স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে আমরা সেখানে উপস্তিত হয়েছিলাম। আমাদের ষোল জনের পড়নে ছিলো সাদা গেঞ্জি আর এই গেঞ্জিতে লাল অক্ষরে লিখা ছিল- মু ক্তি যু দ্ধে র চে ত ণা ভু লি না ই ভু ল বো না । প্রতি জনের বুকে লিখা ছিল এক একটি অক্ষর। আমার বুকে ছিলো ‘না’ বর্ণটি। আমার বাপ পাশে ছিলেন মরহুম আব্দুল হাকিম ‘ ই’ ডান পাশে ছিলেন বদরুজ্জামান শামীম। আমার স্পস্ট মনে আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা ষোলজন। আসলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সকল কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ। সেদিন আমার নেতা মুহিবুর রহমান মানিক কে মাল্যদিয়ে বরণ করে নেন আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন আমার মনে যে প্রেরণার জোয়ার এসেছিল তা আজও খরস্রোতা নদীর মতো বহমান।
এই যোগদানকে যারা অনুপ্রবেশ বলবে তাকে বলতে ইচ্ছা করে আপনি কোন প্রক্রিয়ায় কার হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্যই প্রমাণ নেই। মনে রাখবেন গাঁয়ের জোরে খুন করা যায় নেতা হওয়া যায়না।