দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন এখন প্রত্যাহিক ঘটনার মতো। মাঝেমধ্যে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন অশ্বের মতো ছুটতে দেখা যায় ঊর্ধ্বমূল্যে। কখনো কখনো এমন পর্যায়ে দাম পৌঁছায় যা সাধারণ দ্রারিদ্র্য পরিবারের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই গেল পিঁয়াজের ঝাঁজ। যেখানে ১৫ বা ২০ টাকার পিঁয়াজ বিক্রি হলো ২৮০ টাকা পর্যন্ত। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটা অবাঞ্ছনীয় ঘটনা। সোমবার বিকাল থেকে শুরু হলো লবণ নিয়ে কল্পকথা। যেখানে লবণের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পয়ত্রিশ টাকা সেখানে একশোর উপরে বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায় ছাতক ও সিলেটের কিছু বাজারে। লবণ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে অন্যতম। আর এর উৎপাদনও দেশের অভ্যন্তরে হচ্ছে , প্রতিটি প্যাকেটেও মূল্য লেখা রয়েছে। লবণের উৎপাদনজনিত, পরিবহণে কিংবা সামাজিক কোনো কারণেও এর দাম বৃদ্ধির প্রশ্নই উঠে না। তারপরও হঠাৎ কেন এমন দাম বাড়লো এ প্রশ্ন হাজারো জনতার। কিন্তু লবণের দাম আদৌ কি বেড়েছে? আসলে এটা সম্পূর্ণ গুজব। আর এ গুজবে কান দিয়ে পিঁয়াজের দামবৃদ্ধির মতো লবণের দামবৃদ্ধি পাবে ভেবে অনেকেই লবণের বাজারে জমাট বেঁধেছেন। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু লোভী লবণ ব্যবসায়ীরা। ছাতক ও সিলেটের অনেক জায়গায় লবণ অতিমূল্যে বিক্রি হয়েছে। যেখানে পয়ত্রিশ টাকা কেজি সেখানে সত্তর, আশি কিংবা একশত বিশ টাকা পর্যন্ত লবণ বিক্রি করেছে। ইতিমধ্যে অনেক বিত্রুেতারা ও জানিয়েছেন খুব বেশি পরিমাণ লবণ বিক্রি হয়েছে যা এক সপ্তাহেও হতো না। আর এমন হওয়ার অন্যতম কারণ গুজবের সৃষ্টি।
বর্তমান সমাজব্যবস্থা বা দেশে এমন অবস্থানে বিরাজ করছে যে, কোনটি বাস্তবে হচ্ছে আর কোনটি গুজব তা নির্দিষ্ট করে বুঝা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তবুও সর্বমহলের কাছে অনুরোধ থাকবে গুজব থেকে দূরে এবং সত্যানুসন্ধানে থাকুন। অযথা গুজব ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও আপামর জনতাকে হয়রানের স্বীকার করবেন না। লবণের অতিমূল্যে প্রত্যাশি, লোভী ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিন এবং সর্বোপরি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন। অথবা হেল্পলাইনেও ফোন করে সমাধান পেতে পারেন।
লেখক: দক্ষিণ কুর্শী, ছাতক, সুনামগঞ্জ
মোবাইল: 01724-952639