ভারতবর্ষের কলেরা আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল যে গ্রামে কলেরা আক্রমণ শুরু হয়েছিল সেই গ্রামের মানুষ মরে জনশূন্য পরিণত হতো। গ্রামের পুরুষ দলবেঁধে একজন মুন্সি কে সঙ্গে নিয়ে হাতে মশাল মিছিল করে কলেরা কে বিতরণ করার একমাত্র পদ্ধতি ছিল। ১৮২০ সালে মানুষের মধ্যে যে ধারণা ছিল কলেরা একটি জীন জাতির মাধ্যমে কলেরা ছড়িয়ে পড়তো মানুষের মধ্যে, এই বিশ্বাস নিয়ে মানুষ তখন পীর সাহের কাছে গিয়ে পানি পড়া নিয়ে আসতো যাতে কলেরা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, কলেরা মহামারী দেখা দিলে তখন মানুষ এই এলাকা অথবা হাট বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দিত বর্তমান সময়ের বলা হয় লকডাউন ,কলেরা শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশের ছড়িয়ে পড়েছিল বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবং আনুমানিক ৫ কোটি মানুষ এশিয়া মহাদেশের কলেরা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল ।সংক্রামিত ব্যক্তির মলের মধ্য দিয়ে ১- ১০দিন পর্যন্ত ব্যাকটিরিয়া বের হয়, যার থেকে অন্যান্য ব্যক্তিদের সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে প্রচণ্ড পাতলা পায়খানা ও শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়।১৮২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সেই সময়ে ঔষধ আবিষ্কার করা অথবা চিকিৎসা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না।ভারতীয় উপমহাদেশে এই রোগের পৌনপুনিক প্রাদুর্ভাবের কথা বহু বছর ধরে লিখিত হয়ে এলেও ১৯১৭ সালের গোড়ার দিকেই কলেরাকে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসাবে শনাক্ত করা হয়। বতমান সময়ে এসে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট আইভিআই জানিয়েছে, যে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে স্বল্প মূল্যের কলেরা টিকা উদ্ভাবন করেছে৷ ভারতে এই টিকা বাজারজাত করণের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে৷ এতে করে এই ঔষধটির বিশ্বব্যপী ব্যবহারের পথ সুগম হলো৷ এবং ১৯৯০ সালে প্রথম মুখে গ্রহণের টিকা প্রবর্তন করা হয় বাংলাদেশ। চলবে। লেখক: আমেরিকা মিশিগান থেকে।
দুনিয়া কাঁপানো মহামারী পর্ব ২ : শাহ মোঃ সফিনূর
Catagory : Slide Show, সাহিত্য | তারিখ : 7 ফেব্রুয়ারী 2021, 2:35 অপরাহ্ন |
পোস্টটি 890 বার পড়া হয়েছে
